• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

শিক্ষা

“শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, হাজিরা খাতায় উপস্থিত বিদ্যালয়ে” শিরোনামে বাংলাদেশের খবরে সংবাদ প্রকাশ

তদন্ত সম্পন্ন, প্রতিবেদন দাখিল রোববার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৫ জুন ২০২৩

আবু হাসান শেখ, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি: 
“শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, হাজিরা খাতায় উপস্থিত বিদ্যালয়ে” শিরোনামে গত ৭ জুন বাংলাদেশের খবর সহ বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গঠন করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। এ কমিটি আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করেছে। আগামী রোববার প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্তকর্তা আবু তাহের।
সুত্র জানায়— তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে পুটিমারী ঝাকুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। এসময় তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা শামীমা নওরিন জ্যোতি। পরে বেলা ৩ টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম করে। শিক্ষা অফিসে তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াৎ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ।
তদন্ত’র বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- আমরা আজ তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। তদন্তে কি পেলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমরা আগামী রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব এর বাহিরে আর কিছু বলা সম্ভব না।
এর আগে “শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, হাজিরা খাতায় উপস্থিত বিদ্যালয়ে” শিরোনামে বিডি২৪লাইভসহ বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এ প্রতিবেদনটি নজরে পড়লে উপজেলা প্রশাসন ১১ জুন ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে। চিঠিতে তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৮ জুনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। তদন্ত কমিটিতে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের উপ—সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আহম্মেদকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি করা হয়।
অন্যদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের শোকজ করা হয়েছে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ জানান। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের আরও জানান— আমরা শিক্ষা অফিসের তরফ থেকেও তদন্ত সম্পন্ন করেছি। তাকে (উপজেলা শিক্ষা অফিসার) না জানিয়ে গোপনে সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন একটি প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে দাখিল করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি এ সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান— জেলা শিক্ষা অফিস থেকে তার (সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত হোসেন) কাছে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন চেয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিস তার কাছে প্রতিবেদন চাইতেই পারে। এক পর্যায়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাংবাদিকদের বলেন- এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি বাদ দেনতো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads